লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাকের ডগায় খাজনা-দাখিলাসহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার উপজেলার চরলরেন্স তহশিল অফিসে সরজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চরলরেন্স ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম (জাফর) অফিসের সরকারি কাজে ‘বহিরাগত’ ব্যক্তিকে বসিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম পরিচালনা করেন। এতে একদিকে নদীভাঙা ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে; অন্যদিকে সরকারি সেবা বঞ্চিত করে নিজেদের পকেট ভারী করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার চেয়ার ফাঁকা। পাশের চেয়ারে এক বহিরাগত ব্যক্তি বসে খাজনা-দাখিলা ও অন্যান্য কাজ করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকার ও নাগরিকের গোপনীয় আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনভিজ্ঞ বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করানো অফিসের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
চরলরেন্স এলাকার রুবেল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, “আমার কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা খাজনা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু রশিদ দেওয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকার।” একইভাবে করইতলা বাজারের ফিরোজ আলম জানান, “আমি একটি নামজারি করতে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়েছি।”
এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে চরলরেন্স ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, “খাজনার নামে অতিরিক্ত নেওয়ার কোনো বিধান নেই। সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না।”
আপনার মতামত লিখুন :