ওমানে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে ব্যবসা করছেন এবং নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশে অবদান রাখছেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর সরদার। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২১ ও ২০২৩ সালে সিআইপি সম্মাননা পান। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মন্ত্রীদের হাত থেকে পদক নেওয়ার সেই মুহূর্তগুলো এখনো তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এ স্মৃতি যেন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি একটি চক্র তাকে “আওয়ামী লীগের অর্থদাতা” আখ্যা দিয়ে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তারা ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেও পুলিশের তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। উল্টো চাঁদাবাজির শিকার হয়ে থানায় মামলা করলেও নিরাপত্তাহীনতায় এখন তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর বাসায় হামলার সময় শত শত লোক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ জাহাঙ্গীরের। তিনি পুলিশকে খবর দিলেও সহযোগিতা পাননি। হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি নেতাকর্মী বলে দাবি করেন তিনি। এর মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা পলাশ, স্বপন, কামরুল ও জুয়েলসহ বেশ কয়েকজনের নাম মামলায় উল্লেখ করেছেন জাহাঙ্গীর। তবে অভিযুক্তরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার ভয়ে বাড়িছাড়া হয়ে বর্তমানে ভাড়া বাসায় আছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একজন সিআইপি হয়ে যদি চাঁদাবাজির শিকার হতে হয় এবং নিরাপত্তা না পাওয়া যায়, তবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর মূল্য কোথায়?
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাফরুক হোসেন নিশ্চিত করেছেন, চক্রটি সত্যিই ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। ইতোমধ্যে একজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা জামিনে আছেন। তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :