চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবাদ জানানোর অভিনব উপায় হিসেবে শিক্ষার্থীরা চাকসু ভবনের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ‘জোবরা ভাত ঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের সামনে অবস্থিত চাকসু ভবনের নামটি পরিবর্তন করে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। জোবরা ভাত ঘর নামটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অফিসটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত। এতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালু নেই। এখানে হয় শুধু খাওয়া-দাওয়া ও বিয়ের অনুষ্ঠান। অথচ এই ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামী ছাত্র মজলিসের চবি শাখার সভাপতি জোবরা ভাত ঘরের ছবিটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, বিবাহ এবং সুন্নতে খৎনা সহ সব ধরনের সামাজিক, অসামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য আজই বুকিং করুন!
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, চাকসু না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ও সমস্যা উপস্থাপনের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে কেউ কথা শোনে না।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আর কোনো নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
৫ আগস্ট পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ক্রিয়াশীল সব সংগঠনই চাকসু আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। তবে প্রশাসন জুনের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :