ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে, যার জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুতিরা।
স্থানীয় সময় রোববার (৬ জুলাই) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা লোহিত সাগর উপকূলের হুদাইদাহ, রাস-ইসা ও আস-সালিফ বন্দর এবং রাস কাথিব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও তারা গ্যালাক্সি লিডার জাহাজে স্থাপিত একটি রাডার ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে। এই জাহাজটি হুতিদের দ্বারা দখলকৃত এবং এখনও হুদাইদাহ বন্দরে নোঙর করা আছে।
এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। গত এক মাসের মধ্যে ইয়েমেনে প্রথম হামলা চালায় ইসরায়েল। এর আগে, একই দিন ভোরে হুতিদের নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দিয়েছে বলে দাবি করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইয়েমেনের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে সোমবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে ইসরায়েলের দিকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং তারা এগুলোকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এই হামলার কারণে জেরুজালেম, হেবরন ও মৃত সাগরের নিকটবর্তী শহরগুলিতে সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। হুতিরা দাবি করে যে, ইসরায়েলের হামলার আহত ও নিহত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানাতেই তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই গোষ্ঠী ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেনে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর ১০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর হুথিরা তাদের হামলা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। কিন্তু মার্চের ১৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা চালানোর পর তারা আবারও হামলা শুরু করে, যার পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৩০০ মানুষ নিহত হয়।
সূত্র: আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :